HSC - বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

"বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ" কাব্যাংশটি ১৪ মাত্রার অমিল প্রবহমান যতিস্বাধীন অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত। প্রথম পঙ্ক্তির সঙ্গে দ্বিতীয় পঙ্ক্তির চরণান্তের মিলহীনতার কারণে এ ছন্দ 'অমিত্রাক্ষর ছন্দ' নামে সমধিক পরিচিত। এ কাব্যাংশের প্রতিটি পঙ্ক্তি ১৪ মাত্রায় এবং ৮ + ৬ মাত্রার দুটি পর্বে বিন্যস্ত। লক্ষ্য করার বিষয় যে, এখানে দুই পঙ্ক্তির চরণান্তিক মিলই কেবল পরিহার করা হয়নি, যতিপাত বা বিরামচিহ্নের স্বাধীন ব্যবহারও হয়েছে বিষয় বা বক্তব্যের অর্থের অনুষঙ্গে। এ কারণে ভাবপ্রকাশের প্রবহমানতাও কাব্যাংশটির ছন্দের বিশেষ লক্ষণ হিসেবে বিবেচ্য।

বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১> 'অমিত্রাক্ষর ছন্দ' বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: অন্ত্যমিলমুক্ত। 

২> অন্ত্যমিলমু কুম্ভকর্ণকে 'শূলীশম্ভুনিভ' বলে বিশেষিত করা হয়েছে কেন?
উত্তর: শিবের সমতুল্য বীর বলে।

৩> 'রাঘবদাস আমি'- এখানে বিভীষণের নিজেকে 'দাস' বলার পেছনে কোন মনোভাব ক্রিয়াশীল?
উত্তর: ভক্তি।

৪> 'রাঘবদাস আমি'- বিভীষণের এ উক্তিটির সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন বিশেষ ভূমিকায় অবতীর্ণ কাদের মিল রয়েছে?
উত্তর: রাজাকারদের।

৫> বিভীষণের কথা শুনে মেঘনাদের মরে যেতে ইচ্ছে হলো কেন?
উত্তর: আপনজনের বিশ্বাসঘাতকতা দেখে।

৬>'মৃগেন্দ্রকেশরী' শব্দটি ব্যবহার করে মেঘনাদ কী বোঝাতে চেয়েছে?
উত্তর: শ্রেষ্ঠ বীরপুরুষ।

৭> নিরস্ত্র মেঘনাদের প্রতি আক্রমণকে মুক্তিযুদ্ধের কোন সময়কালের সাথে তুলনা করা যায়?
উত্তর: পঁচিশে মার্চ কালরাত্রি।

৮> 'সিরাজউদ্দৌলা' নাটকের 'সিরাজ ও ঘসেটি বেগম' চরিত্র দুটির সমতুল্য চরিত্র হলো-
উত্তর: মেঘনাদ ও বিভীষণ।

৯> বিভীষণের স্বজাতিবৈরী ভূমিকার পেছনে কোন বিষয়টি ক্রিয়াশীল ছিল?
উত্তর: ধর্মবোধ। 

১০> মেঘনাদের ভর্ৎসনা সত্ত্বেও বিভীষণ নিজেকে দোষী মনে না করার কারণ কী?
উত্তর: তার নৈতিক অবস্থানের কারণে।

১১> মেঘনাদকে 'বাসবত্রাস' বলা হয় কেন? 
উত্তর: দেবতা ইন্দ্রের ভয়ের পাত্র বলে।

১২> মেঘনাদের দৃষ্টিতে বিভীষণের বিমাতাসুলভ আচরণের পেছনে মূলত কোন বিষয়টি দায়ী বলে গণ্য?
উত্তর: সঙ্গদোষ।

১৩> 'চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে'- পঙ্ক্তিটিতে মেঘনাদের কোন অভিব্যক্তি সর্বাধিক জোরালো হয়েছে?
উত্তর: বিভীষণের প্রতি ভর্ৎসনা।

১৩> "নিজ কর্ম-দোষে, হায়, মজাইলা/ এ কনক-লঙ্কা রাজা” উদ্ধৃতিতে 'নিজ কর্ম-দোষ' কোন প্রসঙ্গে ব্যবহৃত?
উত্তর: সীতাকে অপহরণ।

১৪> "স্থাপিলা বিধুরে বিধি স্থাণুর ললাটে; পড়ি কি ভূতলে শশী খান গড়াগড়ি ধূলায়?"- বাক্যটিতে প্রকাশ পায়-
উত্তর: আত্মমর্যাদা।

১৫> 'মহারথী প্রথা' বলতে কোন প্রথার কথা বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: বীরের যুদ্ধরীতি।

১৬> 'নির্গুণ স্বজন শ্রেয়ঃ'- এখানে 'স্বজন' বলতে কবিতায় বোঝানো হয়েছে-
উত্তর: লঙ্কাবাসীকে।


১৭> মেঘনাদের প্রতি কবির মমত্ববোধের অন্তর্নিহিত কারণ হিসেবে সর্বাধিক যুক্তিযুক্ত কারণ হলো-
উত্তর: মেঘনাদের মানবীয় গুণাবলি।


১৮> 'ঘরের শত্রু বিভীষণ'- এ প্রবাদবাক্যটি বিভীষণের কোন আচরণকে কেন্দ্র করে প্রচলিত?
উত্তর: শত্রুপক্ষের সঙ্গে আঁতাত।

১৯> 'সহোদর রক্ষঃ শ্রেষ্ঠ' বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: রাবণকে।

২০> কাব্যাংশে 'রাঘবদাস'কে?
উত্তর: বিভীষণ।

২১>'নন্দন-কানন' বোঝায় কোনটিকে?
উত্তর: উদ্যান।

২২>'অরিন্দম' বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: মেঘনাদকে।

২৩> পাপে বিরত থাকে কারা?
উত্তর: দেবকুল।

২৪> কাব্যাংশে 'রক্ষোরথি' সম্বোধন করা হয়েছে কাকে?
উত্তর: বিভীষণকে।

২৫> 'সৌমিত্রি' কার অপর নাম?
উত্তর: লক্ষ্মণের।

২৬> রাজহংস কোথায় খেলা করে?
উত্তর: স্বচ্ছ সরোবরে।

২৭> রাবণের মায়ের নাম কী?
উত্তর: নিকষা।

২৮>"যায় কি সে কভু, প্রভু, পঙ্কিল সলিলে" এর পূর্বের চরণ কী?
উত্তর: করে কেলি রাজহংস পঙ্কজ-কাননে।

২৯>'বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ' কবিতায় কীসের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশিত হয়েছে?
উত্তর: বিশ্বাসঘাতকতা ও দেশদ্রোহিতার।

৩০> “হে পিতৃব্য, বর্বরতা কেন না শিখিবে?" এ চরণের পরের চরণ কোনটি?
উত্তর: গতি যার নীচ সহ, নীচ সে দুর্মতি।

৩১> "হায় তাত উচিৎ কি তব এ কাজ" বলতে বোঝানো হয়েছে-
উত্তর: বিভীষণের সহায়তা।

৩২> কে কাকে শমন-ভবনে পাঠাইবে?
উত্তর: মেঘনাদ রামানুজকে।

৩৩>"মেঘনাদবধ' কাব্যটি নয়টি সর্গে রচিত”- এখানে 'সর্গ' বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: অধ্যায়।

৩৪> 'মেঘনাদবধ-কাব্য'-এ রামচন্দ্রকে কী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে?
উত্তর: পররাজ্যলোভী।

৩৫> যুদ্ধক্ষেত্র থেকে কুম্ভকর্ণ কী অবস্থায় ফিরে এসেছেন?
উত্তর: মৃত।

৩৬> পুত্রের জীবদ্দশায় মেঘনাদ কী মেনে নিতে পারেননি?
উত্তর: পিতার যুদ্ধযাত্রা।

৩৭> লঙ্কার শ্রেষ্ঠ সন্তান কে?
উত্তর: মেঘনাদ।

৩৮> লক্ষ্মণ কিভাবে নিকুভিলা যজ্ঞাগারের মূল প্রবেশদ্বারে পৌঁছে যান?
উত্তর: দেবতাদের আশীর্বাদে মায়া দেবী ও বিভীষণের সহায়তায়।

৩৯> লক্ষ্মণ যজ্ঞাগারে মেঘনাদকে কোন অবস্থায় পেয়েছিলেন?
উত্তর: নিরস্ত্র উপাসনারত।

৪০> বিভীষণ কেমন প্রকৃতির ছিলেন?
উত্তর: দেশদ্রোহী।

৪১> কপট লক্ষ্মণ মেঘনাদের কাছে কী প্রার্থনা করেন?
উত্তর: যুদ্ধের।

৪২> মেঘনাদ কেন লক্ষ্মণের কাছে সময় প্রার্থনা করেন?
উত্তর: যুদ্ধসাজ গ্রহণের জন্য।

৪৩> কারা মানবীয় রূপের ধারকরূপে 'মেঘনাদবধ কাব্যে'-এ উপস্থাপিত হয়েছে?
উত্তর: রাবণ-মেঘনাদ।

৪৪> প্রথম পক্তির সাথে দ্বিতীয় পক্তির মিলহীনতার কারণে 'মেঘনাদবধ- কাব্য'-এর ছন্দ কী নামে সমধিক পরিচিত?
উত্তর: অমিত্রাক্ষর ছন্দ।

৪৫> বিষয় বা বক্তব্যের অর্থের অনুষঙ্গে 'মেঘনাদবধ কাব্য'-এ কী স্বাধীনভাবে ব্যবহার হয়েছে?
উত্তর: বিরামচিহ্নের।

৪৬> 'মেঘনাদবধ কাব্য'-এ পরিহার করা হয়েছে?
উত্তর: চরণান্তিক মিল।

৪৭> 'রামানুজ' বলে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: লক্ষ্মণকে।

৪৮> 'অনুজ' শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: কনিষ্ঠ।

৪৯> "আজ্ঞা কর দাসে"- এখানে কে আজ্ঞা চেয়েছেন?
উত্তর: মেঘনাদ।

৫০> "নন্দন-কাননে ভ্রমে দুরাচার দৈত্য?"-এখানে কাকে 'দৈত্য' বলে সম্বোধন করা হয়েছে?
উত্তর: লক্ষ্মণকে।

৫১> 'নিশীথে অম্বরে মন্দ্রে"- 'অম্বরে' শব্দটি সঠিক কোন অর্থ প্রকাশ করছে?
উত্তর: আকাশ।

৫২> 'ক্ষুদ্রমতি নর'- এখানে কার কথা উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তর: লক্ষ্মণ।

৫৩> 'ক্ষুদ্রমতি নর'-এখানে 'ক্ষুদ্রমতি' কী অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে?
উত্তর: ক্ষুদ্রবুদ্ধি।

৫৪> 'সূর' শব্দটির সঠিক অর্থ-
উত্তর: বীরত্বপূর্ণ।

৫৫> গতি যার নীচ সহ, নীচ সে দুর্মতি"-চরণটি কোন চরিত্রের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
উত্তর: বিভীষণ।

৫৬> মেঘনাদের 'ছাড় হার' বলার কারণ কী?
উত্তর: অস্ত্রালয়ে যাবার জন্য।

৫৭> 'পঙ্কিল সলিলে'- এখানে 'পঙ্কিল' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: কর্দমাক্ত।

বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ কবিতার mcq

 বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ কবিতা mcq

উক্ত প্রশ্নর উত্তর এবং MCQ সব গুলোই অভিন্ন।



أحدث أقدم