ভূতের গল্প । পরিমিতা - প্রথম পর্ব

পরিমিতা
প্রথম পর্ব
লেখক: আনোয়ার হোসেন

গল্পের শুরু এখান থেকে...
আশেপাশে যেদিকেই তাকানো যায় শুধু ফুল আর ফুল।মনে হচ্ছে এ যেন ফুলের রাজ্য। ফুলের বাগানের ভেতরে হাতে দামি ক্যামেরা নিয়ে ছুটছে একটি ছেলে।ছেলেটির নাম সোহান।সোহান মূলত একজন ব্লগার।সে প্রতিনিয়ত ক্যামেরা নিয়ে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ায়। দামি ক্যামেরাতে বন্দী করে সুন্দর শস্য শ্যামলা প্রাকৃতিক দৃশ্য। আর সেইসব ভিডিও ইউটিউবে দেয়। ইউটিউবে তার একটি চ্যানেল আছে।যেখানে সাবস্ক্রাইব সংখ্যা দুই মিলিয়নের কাছাকাছি। সোহান এই জায়গাটির বেপারে অনেক কথা শুনেছে। তাইতো শতো ব্যস্ততার মাঝেও সে ক্যামেরা নিয়ে এখানে ছুটে এসেছে।সোহান দেখতে খুবই স্মার্ট। লম্বা তার মাথার চুল।গায়ে দামি পোশাক পরিহিত আছে। সবদিক দিয়ে সে এক স্মার্ট সুদর্শন পুরুষ। যেকোনো মেয়ে তাকে দেখে তাকিয়ে থাকে। থাকবেই না কেন! সুন্দর বলে কথা। সোহান বড়লোকের সন্তান। লেখাপড়ার পাশাপাশি সে মাঝেমধ্যে ব্লগ করে বেড়ায়। তার ক্যামেরায় সে কতো কি বন্দি করেছে। গ্রামের খাল বিল থেকে শুরু গাছগাছালি,পাহাড়_পর্বত,সমুদ্র _সৈকত, শস্য শ্যামলা, এককথায় বলতে গেলে ভালোলাগার সবকিছুই সে ক্যামেরাবন্দী করে থাকে।

গ্রামের সাধারণ মানুষের জীবনযাপন নিয়ে তৈরি কিছু ব্লগ তার চ্যানেলে আছে।সে ভবিষ্যতে অনেকদূর এগোতে চায়। ক্যামেরা নিয়ে বাগানের ভেতর সবকিছুই দৃশ্য ধারন করতে থাকে।এদিকে সন্ধ্যা হয়ে আসে।সোহান দ্রুত তার রিসোর্টে ফিরে আসে। সন্ধার পরপরই সে মাগরীবের নামাজ পরে। শত ব্যস্ততার মাঝেও সে সময়মতো নামাজ পরে। আগে নামাজ,তারপর সবকিছু। দুজন লোক এসে জিগ্যেস করে স্যার আপনার কিছু লাগবে কি?একজনের নাম মিরাজ অন্য জন খালেদ। তারা বলে স্যার যদি কিছু লাগে আমাদের জানাবেন। সোহান বলে ঠিক আছে আপনারা এখন যেতে পারেন।লোকদুটি চলে যেতে থাকে।সোহান লোকদুটিকে ডাকে,,,এই যে মামা শুনছেন...! লোকদুটি ফিরে তাকালে সোহান বলে আমাকে এক কাপ কফি দিতে পারবেন? লোকদুটি বলে উঠে স্যার আমরা সবসময়ই আপনার সেবাই নিয়োজিত আছি। আপনার যখন যা লাগবে আপনি সাথে সাথে আমাদের ডেকে জানাবেন। আচ্ছা এখন কফি নিয়ে আসো।

লোকদুটি চলে গেলে,সোহান তার লেপটপ নিয়ে বসে পরে।আজ সে যা কিছু দৃশ্য ধারন করেছে।তা এডিটের কাজে লেগে যায়। অনেক সময় কেটে যায় সে একমনে এডিটিং করতেই ব্যস্ত। এদিকে লোকদুটি সেই কখন কফি দিয়ে গেছে সোহানের নেই খেয়াল নেই।হঠাৎই সোহানের চোখ আটকে লেপটপের এক কোনে। আরে এটা আবার কি!!!সে ভালো করে খেয়াল করে,আরে এটা তো দেখছি একটা মেয়ে মানুষ। সে জোম করতেই দেখে একটি সুন্দর দেখতে মেয়ে দাড়িয়ে আছে।সোহান অবাক হয়ে যায়। আরে আমি ভিডিও ধারন করার সময় সেখানে কোনো মেয়েকে দেখেনি। তাহলে এখন। যে মেয়েটি ক্যামেরাবন্দী হয়েছে। সে কে!!আর মেয়েটি এই বাগানের ভেতর কি করছিল!!!সোহান পেছন ঘুরে লোকদুটোকে ডাকতেব যাবে,অমনি তার হাতের ধাক্কায় কফির কাপটি পরে যায়। সোহান মুখে বিরক্তির ছাপ এনে বলতে থাকে, দ্যাত এই কফি আবার কখন দিয়ে গেল।এই মামা তোমরা কে আছো দেখে যাও তো।দুজনেই দৌড়ে আসে।স্যার আপনার কি দরকার বলুন।সোহান বলে মামা দেখুন এটা কি হলো।কফির কাপটি তো পরে ভেঙ্গে গেল।স্যার আমরা এখনি পরিষ্কার করে দিচ্ছি।আপনি একটু অপেক্ষা করুন।

সোহান বলে তারাতারি ভাঙ্গা কাপের টুকরাগুলো নিয়ে যাও।আর শোনো, ,,জ্বি স্যার বলুন।সোহান বলে শোনো তোমাদের একটা কথা বলি,,,।আমাকে সবসময়ই এভাবে স্যার বলে ডাকবে না। জ্বি স্যার আপনি যেভাবে বলবেন।এখন আমাকে একটু সাহায্য করো।জ্বি স্যার বলুন কি করতে হবে।আমরা আপনারই সেবাই নিয়োজিত আছি।আপনি শুধু বলেই দেখুন আমরা ঝটপট করে দেবো।সোহান বলে আপনাদের কিছুই করতে হবে না।শুধু আমাকে এটা বলুন,,,আপনাদের এই বিশাল ফুল বাগানের ভেতর কতোজন কর্মচারী কাজ করে।লোকদুটি বলে স্যার এখানে তো প্রায় ষাটজনের মতো লোক কাজ করে।আচ্ছা আমাকে শুধু এটা বলো,এই বিশাল ফুলবাগানে কি শুধু পুরষ কর্মচারী নিয়োজিত আছে নাকি মহিলা কর্মচারীও আছেন?লোক দুটি বলে স্যার পুরুষ আছে।মহিলাও আছে।কেন স্যার তারা কি আপনার সাথে কোনো বেয়াদবি করেছে? ___ না তেমন কিছু নয়। আচ্ছা ঠিক আছে তোমরা তাহলে যাও।আমার কোনো প্রয়োজন হলে তোমাদের ডেকে নেবো। জ্বি স্যার বলে তারা সেখান থেকে চলে যায়। সে আবারো স্ক্রিনে জোমোন করে সেই মেয়েটাকে দেখতে থাকে।

মেয়েটি অনেক দূরে থাকায় স্পষ্ট বোঝাও যাচ্ছে না। তবে মেয়েটা অনেক সুন্দর।সোহান মেয়েটির কথা ভাবতে ভাবতে সেখানে চেয়ারেই বসে ঘুমিয়ে পরে। হঠাৎই সে শুনতে পায় কেউ তার নাম ধরে ডাকছে। সোহান খেয়াল করলে বুঝতে পারে, একটি মেয়ে কন্ঠ তাকে ডেকেই যাচ্ছে।সে হাটতে হাটতে রিসোর্ট থেকে বেরিয়ে যায়। তার সামনে রাতের আকাশে অগনিত তারা ও চাঁদ ছাড়া কিছুই দেখা যাচ্ছে না। হালকা চাঁদের আলোতে সে দেখতে পায়। বাগানের ভেতর কয়েকটি ফুল গাছ একসাথে নড়ে উঠলো। সে থেমে যায়।ভাবে এটা কি হতে পারে। সেটা দেখার জন্য সোহান ফুলের বাগানে প্রবেশ করে। তবে এখন আর তাকে মেয়ে কন্ঠে কেউই ডাকছে না। হঠাৎই জায়গাটা নড়ে উঠে। কিন্তু এখানে তো সে কাওকেই দেখতে পাচ্ছে না। সোহান ভাবে এটা তার মনের ভূল হবে হয়তো।এখন রিসোর্টে ফেরা যাক। এই ভেবে সে যেইনা রিসোর্টের দিকে হাটতে থাকে,তখনই পেছন থেকে কেউ একজন তার গলা য় শক্ত করে চেপে ধরে। সোহান ভয় পেয়ে যায়।সে অনেক চেষ্টার পরও নিজেকে ছাড়াতে পারছে না।

অনেক ধস্তাধস্তি করেও সে পেছনে ঘুরে সেই ভয়ঙ্কর জিনিসটাকে দেখতে পারেনি। ভয়ঙ্কর সেই জিনিসটা তাকে খুবই শক্ত করে ধরে রাখে।সেটার সাথে সোহান পেরে উঠছে না। সে গ লা য় তিব্র ব্েথা অনুভব করছে। তখনই তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। সোহানের সারা শরীর ঘেমে গিয়েছে।সে ভাবে হঠাৎই এসব আমি কি দেখলাম। কি ছিল স্বপ্নে দেখা সেই ভয়ঙ্কর জিনিসটা!!! সে এক গ্লাস পানি পান করে জানালার কাছে গিয়ে দাড়ায়। বাহিরে যেদিকেই তাকানো যায়, সেদিকে সুন্দর ফুল আর ফুল।দেখে মনে হচ্ছে এ যেনো ফুলের রাজ্য। পুরো পরিবেশটাই যেন স্বপ্ন পুরির মতো মনে হচ্ছে।চারপাশের বাতাস ফুলের সুন্দর মিষ্টি সুভাসে ভারী হয়ে উঠেছে। নিঃশ্বাস নিতেই ফুলের মিষ্টি গন্ধ নাকে এসে লাগে। আকাশের একফালি চাঁদটা সম্পূর্ণ পরিবেশে জোৎস্না ছড়াচ্ছে।একদিকে আকাশের সুন্দর একফালি চাঁদ।অন্য দিকে সুন্দর ফুলের মিষ্টি সুগন্ধ। সোহান ভাবে এই সুন্দর পরিবেশে ঘরে বন্দি না থেকে এতো সুবিশাল ফুল বাগান থেকে একটু ঘুরে আসি। সাথে ক্যামেরা নিয়ে গেলে ভালোই হয়। সে একটা টর্চ হাতে হাতে দামি ক্যামেরা নিয়ে বাগানে প্রবেশ করে।

রাতের আকাশে জোৎস্না আলোকিত ফুলবাগানের এই সুন্দর পরিবেশটাকে ক্যামেরাবন্দী না করলেই নয়। টর্চের আলোতে চারপাশে সুন্দর করে দেখা যাচ্ছে।সোহান ক্যামেরা হাতে আস্তে আস্তে সামনের দিকে হাটে। তখনই সে দেখতে পায় তার থেকে একটু সামনেই মিরাজ ও খালেদ বসে আছে।তারা রাতের বেলা এ জায়গাটায় বসে সবকিছু দেখাশোনা করে। এতো রাতে সোহানকে সেখানে দেখে লোকদুটি বলে উঠে, একি স্যার এতো রাতে আপনি এখানে কি করছেন!!! আপনাকে না বলেছি এই জায়গাটা ভালো না।রাতের বেলা এই জায়গাটা অভিশপ্ত হয়ে উঠে।আপনাকে এখন রিসোর্টে ফিরে যেতে হবে। সোহান বলে দেখো আমি এখানে তোমাদের রিসোর্ট ভাড়া করেছি সবকিছু এনজয় করতে।এখন তোমরা যদি আমাকে সেখানে যেতে বাধা দাও তাহলে আমি কর্তৃপক্ষের কাছে কিন্তু তোমাদের বিরুদ্বে অভিযোগ করবো।মিরাজ বলে স্যার আপনি এটা করতে পারেন না।এ যাবত এখানে কতো লোক আসলো গেলো।কেউ আমাদের নামে কোনো অভিযোগ আনেনি।আপনি এটা করতে পারেন না।সোহান ভাবে এদেরকে এভাবে বললে শুনবে না।

সে পকেট থেকে কিছু টাকা বের করতেই মিরাজ ও খালেদ বলতে থাকে স্যার আপনি যেখানে খুশি যান আমাদের কোনো সমস্যা নেই।সোহান টাকাগুলো তাদের হাতে গুজে দিয়ে সামনের দিকে হাটতে থাকে।পেছন থেকে খালেদ ঢেকে উঠে।এই যে স্যার শুনছেন...!! সোহান পেছন ফিরে জিগ্যেস করে এখন আবার কি হলো!আরো টাকা লাগবে তাইতো?? লোকদুটি বলে স্যার আমাদের লজ্জা দেবেন না।আমরা বলছিলাম কি,,, এখন তো রাতের বেলা।আপনি চাইলে আমরা আপনার সাথে আসতে পারি কি!!! সোহান বলে না। তোমরা এখানেই থাকো।আমি কিছুটা সময় সামনে থেকে ঘুরে আসি।খালেদ বলে উঠে স্যার আপনাকে একটা অনুরোধ। স্যার আমরা গরিব মানুষ।বাড়িতে আমার বউ বাচ্চা আছে।যদি আপনার কিছু হয়ে যায় তাহলে আমাদের বউ বাচ্চা না খেয়ে ম র বে।সোহান বলে আরে তোমরা এসব কি বলছো!!! আমার কিছু হয়ে গেলে তোমার বউ বাচ্চা না খেয়ে মর ইে কেন!! মিরাজ বলে স্যার আপনার যা ইচ্ছে ভিডিও করুন।যেখানে খুশি যান শুধু বাগানের ঐ পাশটাই যাবেন না।

মিরাজের কথা শেষ হতে না হতেই সোহান বাগানের সেই দিকটাতে তাকায়। সোহান বলে...কেন! ! কি আছে সেখানে? লোকদুটি বলে স্যার আপনি আমাদের কপালে লা থি দেবেন না।কেননা আমরা গরিব মানুষ।আপনি সেখানে গেলে আপনার কিছু হয়ে গেলে আমাদের কারোরই চাকরি থাকবে না। সোহান বলে আমাকে নিয়ে তোমরা এতো ভেবো না তো।আমার কিছুই হবে না আর আমি বলেছি তো বাগানের সেই জায়গাতে ভূলেও যাবো না।লোকদুটি বলে ঠিক আছে।আপনি কিন্তু মনে রাখবেন।সোহান ক্যামেরা টা অন করে টর্চ হাতে সামনে এগোতে থাকে। পুরো বাগানজুড়ে পোকার আওয়াজ হচ্ছে।আশেপাশে ঝিঝিপোকা ডাকছে। সোহান ক্যামেরা অন রেখে বলতে থাকে।কি আছে বাগানের ঐ দিকটায়।আর লোক দুটি কেন সেখানে যেতে বারন করেছে।সে বাগানের অনেকটা গভীরে প্রবেশ করে। হঠাৎই সোহান বাগানের সেই প্রান্ত থেকে কিছু অদ্ভুত আওয়াজ শুনতে পায়।মুহুর্তেই সে থেমে যায়।বেপার কি!!!

সেখানে কি আছে।আর অদ্ভুত সেই আওয়াজটি বা কিসের!!! সোহান ভাবে এখন সে বাগানের সেই প্রান্তে গেলে লোকদুটি বাধা দিতে আসবে।হয়তো তারা দুজন এখনো আমার উপর নজর রাখছে।তাই সে মনে মনে একটা বুদ্ধি আটে। বাগানের সেই জায়গাতে টর্চটি অন করা অবস্থায় সেখানে ফেলে রাখে।আর সে চাঁদের হালকা আলোতে সেদিকে হাটতে থাকে। টর্চটি জলন্ত অবস্থায় সেখানে পরে আছে।তাই মিরাজ ও খালেদ বুঝতে পারেনি। সোহান যতোই বাগানের সেই নিষিদ্ধ প্রান্তের দিকে হাটছে ততোই সেই অদ্ভুত আওয়াজটি বেড়েই চলছে। সোহান ভাবে এতো রাতে একটা সুন্দর ফুলবাগানে ঐ জায়গাতে আসলে আছে টা কি!! আর আওয়াজটি আসলে কিসের! সে হাটতে হাটতে প্রায় সেই নিষিদ্ধ এরিয়াতে চলে যায়।সোহান দেখতে পায় সেখানে বাগানের একপাশে বিশাল একটি রেইনট্রি কড়ই গাছ।আর সেই গাছের ডালপালাগুলো অনেকটা বাগানের উপরে চলে এসেছে। ডালগুলোর দিকে তাকাতেই সোহানের গায়ে কাটা দিয়ে উঠে।কেননা যেই না সোহান সেদিকে তাকায়, সে দেখে গাছটির ডালে ভয়ঙ্কর একটি...!!!

চলবে....

(গল্পটির দ্বিতীয় পর্ব আসবে )

গল্পটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে,তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।আপনার একটা কমেন্টই ভৌতিক গল্পকে নতুন গল্প লিখতে উৎসাহীত করবে।আর একটা কথা ,আপনার আশেপাশে পরিচিত যারা ভৌতিক গল্প পড়তে পছন্দ করে।তাদেরকে ভৌতিক গল্পে আমন্ত্রন করে গল্প পড়ার সুযোগ করে দিন।যাতে তারাও গল্পগুলো পড়তে পারে।সবাইকে ভৌতিক গল্পের বেপারে জানান ও ভৌতিক গল্প পড়তে উৎসাহিত করুন।

গল্পটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে,তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।আপনার একটা কমেন্টই ভৌতিক গল্পকে নতুন গল্প লিখতে উৎসাহীত করবে।আর একটা কথা ,আপনার আশেপাশে পরিচিত যারা ভৌতিক গল্প পড়তে পছন্দ করে।তাদেরকে ভৌতিক গল্পে আমন্ত্রন করে গল্প পড়ার সুযোগ করে দিন।যাতে তারাও গল্পগুলো পড়তে পারে।

গল্প : পরিমিতা (প্রথম পর্ব)
লেখক : আনোয়ার হোসেন
Cradit : আনোয়ার হোসেন
(ভৌতিক গল্প)
Previous Post Next Post